গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় কুমিল্লা জেলায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে খুনসহ অন্যান্য অপরাধ বেড়েছে। ডিসেম্বরে বিভিন্ন ঘটনায় কুমিল্লায় ৮টি খুনের ঘটনা ঘটে। জানুয়ারি মাসে হয়েছে ১০টি খুন। এছাড়াও অন্যান্য ফৌজদারী অপরাধও বেড়েছে। গেল জানুয়ারি মাসে একটি বিদেশি পিস্তল, ৪টি পাইপগান ও ৩টি কার্তুজ ও ১০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইন শৃংখলা কমিটির সভায় এই তথ্য জানানো হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম সভাপতির বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, দেশের যেসব জায়গা দিয়ে মাদক বেশি প্রবেশ করে তার মধ্যে কুমিল্লা অন্যতম। এ জেলায় আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের হাতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ধরা পড়ে। সীমান্তে আনাগোনা বেড়েছে মাদকসেবীদের। আরো ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে মাদকের নতুন ভার্সন আইস ও ক্রিস্টাল মেথ। যা দেশে ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। আগামী প্রজন্মকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তালিকা হচ্ছে। কুমিল্লায় মাদকের বড় ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক কৃষকলীগ নেতা আলহাজ ওমর ফারুক, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, পিপি অ্যাড. জহিরুল ইসলাম সেলিম সেলিম, র‌্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আমিনুল ইসলাম টুটুল, দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, বুড়িচং উপজেলার চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি অন্যান্য দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।